ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম। এক সময় ড্রাগন ফল চিনতেনই না। পরে বিভিন্ন মানুষের কাছে নাম শুনতে শুনতে দেখেন পাশের বাড়ির একজন ড্রাগন চাষ করেছেন। তার গাছে ফলনও চলে আসে। তার কাছে অধীর আগ্রহ নিয়ে কিনতে যান ড্রাগন ফল। কিন্তু দাম শুনে চোখ কপালে উঠে রহিম মেম্বারের। কেজি প্রতি সাড়ে পাঁচশ টাকা! তখন চিন্তা করলেন এই ফলের চাষ তিনিও তো করতে পারেন। এ ভাবনা থেকেই তিনি শুরু করেন ড্রাগন ফল চাষ। আব্দুর রহিম বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছর আগে ড্রাগন গাছ লাগান মাত্র ২০টি পিলার তৈরি করে। ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে বর্তমানে ২০০টিরও বেশি পিলার রয়েছে তার বাগানে। আরও ২০০ টি পিলার বাড়ানোর পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন রহিম মেম্বার। ড্রাগন ফলের বাগান ছাড়াও তার ৪ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে আরও বিশাল কর্মযজ্ঞ। গেইট দিয়ে প্রবেশ পথে চোখে পড়ে তিনতলা বিশিষ্ট ছোট একটি বাংলো। রয়েছে খণ্ড খণ্ড পুকুরে মাছের প্রজেক্ট। আর পুকুরগুলোর পাড়েই করেছেন এই ড্রাগন ফলের বাগান। তাছাড়াও রয়েছে আম বাগান এবং হাঁস-মুরগির খামার।
প্রায় দুই লাখ টাকার ড্রাগন ফল ইতোমধ্যে বিক্রি করছেন রহিম মেম্বার এবং এই মৌসুমে আরও দুই লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তিনি। রহিম মেম্বার বলেন, একটি গাছ থেকে বর্তমানে গড়ে ৫ কেজির মতো ফল পাওয়া যায়। সেই হিসাবে ২০০ গাছ থেকে এই মৌসুমে ফলের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার কেজি। কেজি প্রতি ৪শ টাকা হিসেবে ১ হাজার কেজির দাম পড়ে ৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করা হয়েছে। আরও দুই লাখ টাকার ফল ধীরে ধীরে বিক্রি করা হবে। রহিম মেম্বার বলেন, ‘ইউপি মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করা আমার নেশা।
কিন্তু পেশা হিসেবে নিয়েছি এই কৃষিখামারকেই।’ লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সানজিদা বিনতে সালাম বলেন, রহিম মেম্বারের ড্রাগন ফলের বাগান করেছে। বর্তমানে লামায় প্রায় ৪০ হেক্টরের মতো ড্রাগন ফল চাষের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। এই ফল জনপ্রিয় হওয়ার কারণে দিন দিন চাষও বৃদ্ধি পাচ্ছে উপজেলার পাহাড়ি এলাকায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।